মিলনের সময় নারীর করনীয় কি?
মিলনের সময় নারীর করনীয় কি? পুরুষ সঙ্গীকে বেশি সুখ দেয়া? শুনতে ভালো শুনালেও আসলে গভীর ভালোবাসায় কিন্তু আসলে এটাই হয়। প্রত্যেক পুরুষই কিন্তু বিছানায় তার স্ত্রীর আদর ভালোবাসা পেতে চায়। আজকে আমরা আলোচনা করবো মিলনের সময় নারীর করণীয় কি?
মিলনের সময় নারীর করনীয় কি?
অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, মিলনের সময় নারীর করনীয় কি? আমি এখন এই বিষয় নিয়েই কথা বলবো। আজকে আমি মিলনের সময় নারীর করনীয় কি এই বিষয়ে ১০ টি পয়েন্ট দিবো যাতে করে আপনি বিছানায় আপনার স্বামীকে খুশি করতে পারেন। তবে বেশ কিছু সিক্রেট বিষয় আছে যা কিনা বেশিরভাগ লোকই জানেন না। কারণ এসব বিষয়গুলো মেডিকেলের সাথে সংযুক্ত। আর আমি এই আর্টিকেলে এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো। উল্লেখ্য যে এখানে আমি সাইকোলজিক্যাল বিষয় এবং ফিজিক্যাল বিষয় দুইটা নিয়েই আলোচনা করবো। তবে মিলনের সময় নারীর করনীয় কি এটা জানার আগে আপনাকে আগে জানতে হবে বিছানায় কিভাবে ভালো পারফর্ম করা যায়? আর বিছানায় ভালো পারফর্ম করার আগে আপনাকে কনফিডেন্ট হতে হবে। তো চলুন জেনে আসি – কিভাবে কনফিডেন্ট বা আত্মবিশ্বাসী হবেন? ( আমি এখানে আমার মেডিকেল লাইফের বেশিরভাগ পড়াই উল্লেখ করেছি। সুতরাং আর্টিকেল একটু বড় হতে পারে। কষ্ট করে পড়ার অনুরোধ রইলো। )
বিছানায় কিভাবে আত্মবিশ্বাসী/ কনফিডেন্ট হবেন?
মিলনের সময় নারীর করনীয় কি জানার প্রথমেই আপনাকে এটা জানতে হবে। নিজের যৌন ইচ্ছা গুলো সঠিক মানুষের কাছে প্রকাশ করা মানুষের একটি বৈশিষ্ঠ্য কারণ এর দ্বারা আপনি জীবনের এক গোপন সুখ অনুভব করতে পারবেন আর আপনি এমন একজন লোক পাবেন যার কাছে সুখ দুখ সব কিছুই শেয়ার করতে পারবেন। তবে আপনার রিপ্রোডাক্টিভ অর্গান এবং সেক্সের সাথে জড়িত অঙ্গ গুলোর কার্যকারীতা শারীরিক এবং মানসিক উভয়ভাবেই সঠিক থাকতে হবে। তাহলেই আপনি বিছানার আসল মজা দিতে এবং নিতে পারবেন।
আমরা মেয়েদের আবেগ এবং কোন সম্পর্কের ভিতর নিরাপত্তার অনুভূতি , যৌন উত্তেজনাকে ব্যাপকভাবে উত্তেজিত করে। আর এই সম্পর্কে যখন কোন মহিলা কনফিডেন্স পায় তখনই তারা সেক্সের দিকে আগায়। সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি?
অন্যদিকে আপনি যদি আত্মবিশ্বাসী না হন, আপনি যদি দোটানায় থাকেন বা চিন্তিত থাকেন তাহলে আপনি কখনোই বিছানায় ভালো করতে পারবেন না। যেমন আপনি যদি প্রেমের ভিতর থাকেন, আপনি কখনোই বিছানায় ভালো করতে পারবেন না। কারণ প্রেমে এমনও হতে পারে আপনার বয়ফ্রেন্ড আপনার সাথে সেক্স করার পর আপনার সাথে ব্রেকআপ করে ফেলতে পারে। কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে আপনার স্বামী যতই খারাপ হোক না কেন, যে হটাত করে আপনাকে ছেড়ে যাবে না আর তখন আপনার তার প্রতি বিশ্বাসও অনেক বেশি থাকবে। যেভাবে আত্মবিশ্বাসী হবেনঃ
- প্রথমেই আপনার আগে নিজেকে জানতে হবে। অর্থাৎ আপনি কি কি পারবেন , কি কি পারবেন না এসব বিষয় আপনার জানতে হবে।
- আপনি কোন ধরণের স্পর্শ উপভোগ করেন, কোন ধরণের কিস এনজয় করেন তা আগে থেকেই জেনে রাখুন।
- সেক্সের সময় যাতে করে শরীর দুর্বল না হয়, ফুসফুস যাতে করে রিল্যাক্সে থাকে তাই শ্বাস নিন। আপনার ভিতর কোন চিন্তা থাকলে ঝেড়ে ফেলুন। আর চিন্তা যুক্ত মন নিয়ে সে করলে আপনিও মজা পাবেন না, আপনার স্বামীও মজা পাবে না।
- যদিও একবারে আপনি আত্মবিশ্বাসী হতে পারবেন না, আপনি চাইলে স্বামীর কাছ থেকে সময় নিন। আপনি কিরকম আদর ভালোবাসা চান তার কল্পনা করবেন আগে। এর পর স্বামীর কাছ থেকে বিছানায় তা বুঝে নিবেন।
- আপনি আপনার স্বামীকে কোনভাবে উত্তেজিত করেন, কোন ভাবে উত্তেজিত করলে সে বেশি মজা পায়, কোন ভাবে উত্তেজিত করলে আপনি মজা পান এসব বিষয় খেয়াল রাখবেন।
- সর্বোপরি, আপনি বিছানায় কিভাবে আত্মবিশ্বাসী হবেন তা রাতারাতি হওয়া সম্ভব না। কারণ এটা স্বামীকে চেনা এবং নিজে স্বামীর সাথে কতটুকু ফ্রি এর উপর নির্ভর করে।

কিভাবে বিছানায় সুন্দর দেখাবেন?/ বিছানায় কিভাবে সুন্দরী হবেন?
মেডিকেলে এসে আমি একটা সাইকোলজিক্যাল এক্সপ্রেশনের শুনেছি যা কিনা বিছানায় অনেক ভালো কাজে দেয়। ভালো দেখালে ভালো লাগে এই কথাটা অসম্ভব রকমের সত্য। আপনি কেমন সেজে গুজে স্বামীর কাছে যান তার উপরও আপনার আত্মবিশ্বাস এবং আপনার সেক্সের মজা নির্ভর করে। যেমন যদি আপনি নোংরা, অনেক দিন আগের পুরোনো জামা কাপড় পড়ে স্বামীর কাছে যান তাহলে অবশ্যই আপনার কনফিডেন্স অনেক কমে যাবে। কারণ আপনার তখন মনে হতে থাকবে , আমাকে বোধহয় ভালো দেখাচ্ছে না। আর তাই আপনাকে বিছানায় যাওয়ার সময় আপনার সবচেয়ে বেস্ট কাপড় পড়ে যেতে হবে। মেয়েদের মাসিক কিভাবে কেন হয়? ভিডিওসহ দেখুন Meyeder Masik Kivabe Keno Hoy?
আবার ধরেন আপনি এমন ব্রা পড়লেন যা কিনা আপনার সাইজের না। তখন আপনি আবার অস্বস্তিতে পড়ে যাবেন এবং আপনার স্বামীর সামনে আপনি লজ্জিতও হতে পারেন। আর তখনই আপনার সেলফ কনফিডেন্স কমে যেতে পারে। এর জন্য আপনাকে সঠিক সাইজের এবং সঠিক রঙ্গের ব্রা পড়তে হবে। সঠিক রং বলতে বুঝাচ্ছি আপনার স্বামী যে কালারের ব্রা পছন্দ করে সেই কালারের ব্রা পড়তে হবে। আর সেক্সের আগে মেকাপ করবেন না ।করলেও হাল্কা মেকাপ করবেন। কারণ প্রায় সকল পুরুষেরাই তার স্ত্রীকে সেক্সের সময় তার আসল রূপে দেখতে চায়।
সোজা ভাষায়, বিছানায় সুন্দর হওয়ার উপায় হলো আপনার স্বামী যেসকল কাপড়, যে সকল রঙ পছন্দ করেন, সেই কালারের সেই কাপড় পড়ে যেতে হবে। কারণ বিছানায় আপনি কেমন সুন্দরী সেটা কেবল মাত্র আপনার স্বামীই দেখবে। সুতরাং তার জন্য সাজতে হবে।
মিলনের সময় নারীর করনীয় কি?
আপনি হয়ত জানেন না যে, স্বামীর সাথে শারীরিক সম্পর্কের জন্য আপনার শরীরের অনেক উপকার হচ্ছে। একদিকে যেমন সুখ আবার আরেকদিক থেকে এটা আপনার দুশ্চিন্তা কমিয়ে দেয়, ইমিউন সিস্টেমকে দৃঢ় করে এবং ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিচে আমি কিছু টিপস দিচ্ছি যা কিনা আপনাকে মিলনের সময় নারীর করনীয় কি বুঝতে সাহায্য করবে।
১. প্রথমে শুরু করা মিলনের সময় নারীর করনীয়
ছেলেরা সাধারনত এমন মেয়ে পছন্দ করে যারা কিনা তাকে সেক্সের জন্য উৎসাহিত করবে। অর্থাৎ আপনি যদি প্রথমে আপনার স্বামীকে বিছানার জন্য ডাকেন তাহলে সে আপনার প্রতি এট্রাকটড হয়ে যাবে। আর আপনি প্রথমে তাকে বিছানায় ডাকার জন্য আপনার কনফিডেন্স বেশি লেভেল বুঝা যাবে যা কিনা অন্যর উপর প্রভাব বিস্তার করার মত। মেয়েরা কত সময় মিলন করতে পারে?
আপনি প্রথমে শুরু করার অর্থ হলো আপনি আপনার স্বামীর উপর খুশি এবং আপনি তার সাথে মিলিত হতে ইচ্ছুক। আপনি তার ভালোবাসা পেতে চান। বিশ্বাস করেন, ছেলেরা জাস্ট এটাই চায়।
২. নিজেকে সঠিক মুডে রাখা মিলনের সময় নারীর করনীয়
সত্যি বলতে কি সব মানুষই সেনসিটিভ। আর খুবই কম মানুষ আছে যারা এসব সেনসিটিভনেস বুঝেন না, তারা সেক্সের সময় পাথরের মুর্তির মত থাকে। না কথা বলে, না স্বামীর সাথে রোমান্স করে। এবং বেশিরভাগ লোকই প্রাথমিক কিছু উত্তেজনামূলক কাজ বাদে যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করে না। কারণ যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশের আগে নিজেকে আগে উত্তেজিত হয়ে নিতে হয়। তাহলেই আপনি সেক্সের পরিপূর্ণ মজা পাবেন। আর এর জন্য ফোরপ্লে আবশ্যক। ফোরপ্লে আপনার এবং আপনার স্বামীর সেক্স এমনভাবে বাড়াবে যাতে করে আপনারা দুইজন পরিপূর্ণ মজা পান। ফোরপ্লে আসলে মস্তিস্কে অক্সিটোসিন, সেরেটোনিন এবং ডোপামিন হরমোন নিঃসরণ করে। এর জন্যই আপনি আসল মজা পাবেন। আমাদের দেশের অনেক মহিলারাই এটা বুঝেন না। তারা সেক্সের সময় পুরো পাথরের মত থাকে। এর জন্যই তার স্বামী কোন মজা পায় না। যার ফলে তারা প্রথমে পর্ণ ( খারাপ ভিডিও ) এবং পরে পরকীয়ায় আসক্ত হয়। সুতরাং আপনার স্বামী যে পরকীয়ায় আসক্ত হয় এর জন্য কিন্তু আপনিও দায়ী।
যাহোক, ফোরপ্লে করার বেশ কিছু হিন্টস দিচ্ছি।
আপনি চাইলে আপনার স্বামীর কানে কানে গিয়ে উত্তেজনামূলক কিছু কথা বলতে পারেন। এতে করে সে উত্তেজিত হয়ে যাবে। যেমন বললেনঃ আমাকে খেয়ে ফেলো বা এরকম ইত্যাদি কথা। এর সাথে কানে বা গলায় হালকা কামড়ও দিতে পারেন। সাথে সম্পূর্ণ মুখ এবং অন্যান্য শরীরের অংশে কিস/ চুম্বন দিতে পারেন। পিঠের বা বুকের দিকে হালকা ম্যাসাজও করতে পারেন। তবে স্বামীর কাপড় একসাথে না খুলে আস্তে আস্তে খুলবেন। এতে করে সে আরো বেশি উত্তেজিত হবে। পারলে তার লিঙ্গ নিয়ে খেলাও করতে পারেন। স্বামীকে কিভাবে আদর করতে হয়
মনে রাখবেন, একজন ছেলে যখন পরকীয়ার আসক্ত হয়, তখন এর জন্য দায়ী থাকে তার স্ত্রী। কারণ স্ত্রী তাকে পরিপূর্ণ সুখ দিলে সে পরকীয়ার আসক্ত হতো না। ( কিছু একসেপশন থাকতে পারে)
যা হোক, হস্তমৈথুনও কিন্তু ফোরপ্লে হিসেবে গণ্য হতে পারে। তবে একজন ডাক্তার হিসেবে আমি হস্তমৈথুন করতে মানা করি কারণ এতে লিংগের মাইক্রো লেভেলের রগ গুলো ছিড়ে যায়।
সত্যি বলতে কি ফোরপ্লের কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নাই। আপনার এবং আপনার স্বামীর যেভাবে পছন্দ হয় সেভাবেই করবেন।যোনিতে লিংগ প্রবেশের নিয়ম
৩. ভিন্ন ভিন্ন সেক্স পজিশন ট্রাই করা মিলনের সময় নারীর করনীয়
আপনার স্বামী বা আপনি যদি অনেক দিন ধরে একই পজিশনে সেক্স করতে থাকেন তাহলে একসময় বিরক্তি ধরে যাবে। আর এর জন্য বিভিন্ন সেক্স পজিশন ট্রাই করতে পারেন। যেমন ধরেন আমাদের দেশে বেশিরভাগই মিশনারি স্টাইলে সেক্স করে থাকে। অর্থাৎ ছেলে উপরে এবং মেয়ে নিচে শুয়ে থাকে চিত করে। এটা আমাদের দেশে কমন। আমি যত রোগি দেখেছি তারা সবাই এইভাবে সেক্স করে। কিন্তু একসময় এসে আপনার বিরক্ত ধরে যাবে । এর জন্য আপনি বেশ কিছু নতুন সেক্স পজিশন ট্রাই করতে পারেন।ডগি স্টাইল, রিভার্স কাউ গার্ল ইত্যাদি পজিশন সহজ এবং বেশ আনন্দদায়ক।

মিলনের সময় নারীর করনীয় কি? এর প্রথম উত্তরই হলো এমন সেক্স পজিশনে সেক্স করবেন যাতে করে আপনি এবং আপনার স্বামী বেশি মজা পান। তবে চেষ্টা করবেন দুইজনের শরীর যাতে করে বেশি সময় এবং বেশিরভাগই স্পর্শ করে থাকে।
৪. বিছানায় উত্তেজনাকর শব্দ করা মিলনের সময় নারীর করনীয়
মেডিকেলে পড়ছি যে, অনেক ছেলেরা টিম্পোসেক্সুয়াল হয়ে থাকে। অবশ্য অনেক না, বেশিরভাগই। টিম্পোসেক্সুয়াল মানে হল ছেলেরা সেক্সের সময় তার স্ত্রীর গোঙ্গানি বা উত্তেজনাকর শব্দে বেশি উত্তেজিত হয়ে যায়। যেমন বেশিরভাগ ছেলেই বিছানায় চায় যে, তার স্ত্রী হালকা গোংগানির আওয়াজ করবে, আহ উহ আওয়াজ করবে। এতে করে আপনি যেমন মজা পাবেন, আপনার স্বামীও তেমন মজা পাবে। এটা মিলনের সময় নারীর করনীয়। আপনি এরকম শব্দ করার মানে হলো, আপনার স্বামী আপনাকে পরিপূর্ণ সুখ দিচ্ছে এবং আপনার স্বামীর উপর আপনি খুশি। আর ছেলেরা বিছানায় এটাই চায়।
৫. একে অপরকে দেখা মিলনের সময় নারীর করনীয়
আপনি স্বভাবতই আপনার স্বামীকে সুন্দর পোশাকে দেখতে চাবেন। আপনার স্বামীও আপনাকে সুন্দর পোশাকে দেখতে চাবে। আর যেহেতু একজন মেয়ে তার স্বামীর কাছে সবচেয়ে বেশি ফ্রি, তাই সেক্সের সময় দুইজনের দেহ একে অপরকে দেখা এবং ফিল নেওয়া উচিত।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ লোকই সেক্স করেন অন্ধকারে। যার কারণে তারা না একে অপরের দেহ দেখতে পারে, না ফিল নিতে পারে। যার ফলে স্বামী স্ত্রীর দেহ সম্পর্কে জানতেও পারে না, উত্তেজিত হতে পারে না, আবার স্ত্রীও স্বামীর দেহ সম্পর্কে জানতে পারে না। এটা মনে রাখবেন, সেক্সের সময় আপনার স্বামী আপনাকে দেখতে চায়, আপনি কেমন করেন সেটা দেখতে চায়, আপনার হালকা উত্তেজনাকর শব্দ শুনতে চায়। সে চায় আপনি যাতে করে তখন তাকে সবচেয়ে বেশি আদর দেন, তাকে কিস করেন, তাকে দুই হাত দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিবেন।
৬. নিজের চেহারা নিয়ে কখনো চিন্তা না করা মিলনের সময় নারীর করণীয়
আপনার চেহারা যতই খারাপ হোক না কেনো, আপনি যতই মোটা বা চিকন হন না কেন, যতই কালো হন না কেন, আপনার আগে জানতে হবে যে, আপনি একজন মানুষ। একজন ফর্সা মানুষের যেমন সেক্স উত্তেজনা উঠে , আপনারও তেমন উঠে।
মানুষেরা স্বভাবতই ফর্সা চামড়া পছন্দ করে। আপনি যদি ফর্সা হোন তাহলে আপনি এক ধাপ এগিয়ে। আর যদি ফর্সা না হোন, শ্যামলা বা কালো হন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নাই। আপনি নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য প্রথমেই সুন্দর শাড়ি পড়ে ফেলুন। বাঙ্গালি মেয়েদের সবচেয়ে সুন্দর দেখায় শাড়িতে। ( আমি যদিও সুন্দর না, কিন্তু আমাকে নাকি শাড়ীতে সুন্দর মানায়। পারলে নিচে আমার পিকটা দেখতে পারেন।এভাবে পড়তে পারেন। ) তো এভাবে শাড়ি পড়লে আপনার চেহারার দিকে না তাকিয়ে আপনার সৌন্দর্যের প্রেমে পড়তে বাধ্য। তবে মেকাপ করবেন না। কারণ মেকাপ করলে একটা কৃত্রিমতার ছাপ চলে আসে। তখন আপনার মুখের স্কিন কালার হবে একরক আর, নিচের স্কিন কালার হবে আরেকরকম। যা কিনা খুবি বিদঘুটে ব্যাপার। আর আপনি ফর্সা হলে জাস্ট লাল শাড়ি পড়েই দেখেন, আপনার স্বামী ঐখানেই শেষ। ( এসব আসলে আমি সাইকোলজিতে পড়ছি)
৭. আপনি তার কাছ থেকে কি চান সেটা তাকে বলা মিলনের সময় নারীর করনীয়
সেক্সুয়াল কনফিডেন্স তখনই হবে যখন আপনি আপনার স্বামীর সবকিছু সম্পর্কে জানবেন। অর্থাৎ যখন আপনি জানেন যে, আপনার স্বামী কি পছন্দ করেন তখন আপনার কনফিডেন্স লেভেল থাকবে পুরো উপরের দিকে। কিন্তু আপনি যখন জানেন না, তখন আপনি নিজেই কনফিউশনে থাকবেন।
উদাহরণ স্বরূপ, ধরেন আপনি আজকে একটা সুন্দর নীল কালারের থ্রি পিস পড়লেন, কিন্তু আপনি আসলে জানেন না, আপনার স্বামী এটা পছন্দ করবে কি না, তার প্রিয় কালার কি, ইত্যাদি ।তখন আপনি বেশ কনফিউশনের ভিতর থাকবেন। কারন আপনি নিজেই জানেন না, আপনার স্বামী এটা দেখে কি বলবে। কিন্তু যখন আপনি জানেন যে, আপনার স্বামী নীল কালারের থ্রিপিস পছন্দ করে, তখন আপনার কনফিডেন্স থাকবে একেবারে হাই। আগে আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে হইতো – আমাকে কেমন লাগছে? কিন্তু আপনি যখন জানবেন তার পছন্দ কি, তখন আপনাকে আর জিজ্ঞাসা করতে হবে না, সে নিজেই বলে দিবে আপনাকে কেমন লাগছে। সুতরাং আপনি যা চান তা সরাসরি আপনার স্বামীকে বলে ফেলুন।
৯. নিজের ফ্যান্টাসি নিয়ে কথা বলা মিলনের সময় নারীর করনীয়
অনেক সময় দেখা যায় যে, প্রত্যেকের একটা নিজস্ব ফ্যান্টাসি থাকে সেটা যতই খারাপ হোক না কেন। ফ্যান্টাসি থাকাটা অস্বাভাবিক না। যেমন অনেক ছেলের ফ্যান্টাসি থাকে যে, তারা তার স্ত্রীর মুখে বা স্তনের উপর বীর্যপাত করবে। এটা শুনতে যতই খারাপ শুনাক না কেন, এটাই কিন্তু সত্য। আবার অনেক মেয়েদের ফ্যান্টাসি থাকে যে, তারা তার স্বামীর নিপল খাবে ইত্যাদি। এসব ফ্যান্টাসি মোটেও অমূলক না। আপনার স্বামীর বা আপনার যদি এমন ফ্যান্টাসি থাকে তাহলে এসব ব্যাপার নিয়ে মন খুলে কথা বলুন। মনে রাখবেন যে, সেক্স শুধু মাত্র শরীরের বিষয় না। এটা যেমন শরীরের সাথে কানেক্টেড তেমনি মনের সাথেও কানেক্টেড। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম কি?
যেমন অনেক ছেলে আছে যারা তাদের স্ত্রীকে ঘৃণা করে। আর বেশিরভাগ সময়েই ঘৃণা করলে লিঙ্গ দাঁড়ায় না। তা সে যতই সুন্দরী হোক। তাই কখনোই স্বামীর বিশ্বাস ভাংবেন না।
১০. বিছানার কন্ট্রোল নেয়া মিলনের সময় নারীর করনীয়
সত্যি বলতে কি বিছানার কন্ট্রোল নেয়া অনেক ইজি। জাস্ট আপনি যদি আপনার স্বামীকে খুশি করে ফেলেন আপনি বিছানার কন্ট্রোল নিতে পারবেন। আর এর জন্য অবশ্য আপনাকে সেক্সুয়াল কনফিডেন্ট হতে হবে। এর পর দেখবেন যে, আপনি যেমন চান, আপনার স্বামীও তেমন করে মিলন করতেছে। তবে খেয়াল রাখবেন যেনো, সেক্সের আসল মজা থাকে আপনার স্বামী বঞ্চিত না হয়।
সর্বশেষঃ মিলনের সময় নারীর করনীয় কি?
মোট কথা, মিলনের সময় নারীর করনীয় কি? প্রশ্নের উত্তর হলো মিলনের সময় নারীর করনীয় হলো স্বামীকে সর্বোচ্চ সুখ দেয়া। এবং এর জন্য যা যা করা দরকার তাই করা উচিত। এবং একজন পুরুষেরও কাজ হলো তার স্ত্রীকে সর্বোচ্চ সুখ দেয়া। এখানে আমি ১০ টি সিম্পল পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করলাম। তবে আমি যেটা আমার রোগীদের সব সময় বলি যে, সেক্স মানে শুধু যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশই না। আপনি সেক্সকে ইনজয় করা শিখুন। বিছানায় সেক্সের সময় পাথরের মত বা শুয়ে থাকবেন না। আপনার স্বামীর শরীরে হাত বুলিয়ে দিবেন। তাকে কিস করবেন, তার লিঙ্গ নিয়ে নাড়াচাড়া করবেন ইত্যাদি। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাকে ফেসবুকে নক দিতে পারেন। নিচে আমার ফেসবুক আইডি লিংক দেয়া আছে।
Comments
Post a Comment