জরায়ু কেটে ফেললে কি সহবাস করা যায়?

অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন যে জরায়ু কেটে ফেললে কি সহবাস করা যায়? জরায়ু অনেক কারণের কাটতে হয় যেমন জরায়ুতে টিউমার বা জরায়ুতে ক্যান্সার। জরায়ুতে ক্যান্সার হলে জরায়ু কেটে ফেলা হয় যাতে করে ক্যান্সার পুরো দেহে ছড়িয়ে না পড়তে পারে। অনেকেই ভাবেন যে জরায়ু কেটে ফেললে অনেক সমস্যা হয় বা জরায়ু কেটে ফেললে সহবাস করা যায় না। আজকে আমি আলোচনা করবো জরায়ু কেটে ফেললে কি সহবাস করা যায়?

জরায়ু কেটে ফেললে কি সহবাস করা যায়?

জরায়ু অপসারণের অপারেশনকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় হিস্টেরেক্টমি বলা হয়। আর আমরা সবাই জানি যে জরায়ু হলো মহিলাদের দেহে থাকে এমন  অঙ্গ যা কিনা ফাপা এবং বাচ্চারা এখানে বেড়ে উঠে এবং বিকাশ লাভ করে।

হিস্টেরেক্টমি করা হয় সাধারণত ফাইব্রয়েড বা এন্ডোমেট্রিওসিসের মত অবস্থা থেকে মুক্তি লাভের জন্য। যদি এমন হয় যে, জরায়ু না কাটলে আপনি বাচবেন না তখন হিস্টেরেক্টমি করা হয়। 

যেকোনো অস্ত্রোপচারের স্বল্প-মেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। হিস্টেরেক্টমি ব্যথা এবং রক্তপাতের মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। একবার আপনার এই অপারেশন হয়ে গেলে, আপনি পরে আর সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না। যেহেতু একজন মেয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো জরায়ু তাই অপারেশনের আগে জরায়ু কেটে ফেললে কি সহবাস করা যায় প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক। 

হিস্টেরেক্টমি  আপনার যৌন জীবনকেও প্রভাবিত করতে পারে। তবে আপনি সুস্থ হয়ে গেলে আর কোন সমস্যা হবে না। হয়ত একটু সমস্যা হতে পারে। আমি নিচে সমস্যা এবং এগুলোর সমাধান নিয়ে আলোচনা করছি। 

জরায়ু না থাকলে কি কি সমস্যা হয়? 

জরায়ু না থাকলে বেশ কিছু সমস্যা হয়। কারণ জরায়ু এমন একটি অঙ্গ যা কিনা মেয়েদের দেহের বেশিরভাগ ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন একজন মেয়ের জন্য মাসিক  অনেক বড় একটা জিনিস। মাসিক হওয়ার সময়চক্র নিয়ন্ত্রণ করে জরায়ু। জরায়ু না থাকলে কোন মেয়ে মা হতে পারবে না। আবার মেয়েদের দেহের বৈশিষ্ট্য হলো দেহের কমনীয়তা, দেহ হবে মোলায়েম এবং কোমল। আবার ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের দেহে তেমন কোন পশম হয় না। মেয়েদের শুধু মাত্র আন্ডারআর্ম, পিউবিন হেয়ার এবং হাত পায়ে লোম হয়ে থাকে। মেয়েদের মুখে বা পেটে সাধারণত কোন পশম হয় না।  জরায়ু না থাকলে এখানে পশম হতে পারে। 

এছাড়াও জরায়ু না থাকলে অনেক সমস্যা হয়।  যেমনঃ

  • গরম লাগা 
  • রাতে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া 
  • যোনি শুষ্কতা
  • ঘুমে অসুবিধা
  • মেজাজের পরিবর্তন এবং বিরক্তি
  • ওজন বৃদ্ধি 
  • চুল পরা
  • শুষ্ক ত্বক
  • ধৈর্য্যহীনতা 
  • হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস
  • দ্রুত হৃদস্পন্দন

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক সমস্যা হতে পারে। আমি নিচে এসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবো। 

জরায়ু কেটে ফেলার পর কি সহবাস করা যায়? 

জরায়ু কেটে ফেলার পর সহবাস করা যায়। তবে সহবাসে আগের মত মজা পাওয়া যায় না। সহবাসে আনন্দ লাভের জন্য বেশ কিছু ফ্যাক্টর জড়িত থাকে। আর জরায়ু কেটে ফেলার পর সেসকল ফ্যাক্টর পাওয়া যায় না। এখন বিস্তারিত আলোচনা করবো জরায়ু কেটে ফেলার পর কি সহবাস করা যায় কি না।  

 জরায়ু কেটে ফেললে কি সমস্যা হয় জি স্পটে  ?

জরায়ু কেটে ফেললে কি জি স্পটে সমস্যা হয় কিনা  এই সম্পর্কে বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা যাবে। তবে এর আগে জেনে নিই জি স্পট কী?  

জি স্পট হল যোনি পথের ভিতর চামড়ার কিছু ভাজ যা কিনা সেক্সের সময় প্রচন্ড উত্তেজনার সৃষ্টি করে। জি স্পটের জন্যই অর্গাজম হয় বলে অনেকে মনে করে। অর্থাৎ জি স্পটে স্পর্শ করলে আপনি সবচেয়ে বেশি মজা পাবেন।  এছাড়া ক্লিটোরিসের জন্যও অর্গাজম হয়। ক্লিটোরিস হলো যোনির সবচেয়ে উপরের বাদামের মত অঙ্গ। বহু স্নায়ুর শেষ প্রান্ত এখানে আছে। আর আমরা জানি যে, স্নায়ুর এন্ডিং বা শেষ প্রান্ত সেন্সরের মত কাজ করে।  খেয়াল করে দেখবেন যে, আপনার ভগাঙ্কুরে সুরসুরি দিলে আপনি উত্তেজিত হয়ে যাবেন এবং আপনার যোনি কামরসে পূর্ণ হয়ে যাবে। নার্ভের এন্ডিং ভ্যাজাইনাল ক্যানেলের ভিতর শেষ হয় আর এই সকল নার্ভই জি স্পট  তৈরী করে। 

সংক্ষেপে বলতে গেলে বলা যায় যে, হিস্টেরেক্টমি একজন মহিলার সেক্সুয়াল উত্তেজনা কমাতে পারে এমন সম্ভাবনা আছে তবে কম।  কারণ সেক্সুয়াল উত্তেজনা কতটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা নির্ভর করে অপারেশনের সময় কোন কোন অঙ্গ কাটা হয়েছিলো, কোন কোন স্নায়ুতে ইফেক্ট পড়েছে।  

ভাল খবর হল, যদি আপনার হিস্টেরেক্টমি হয়, তবে এই  নার্ভ বা টিস্যুর  কোনওটিই অপসারণ করার সম্ভাবনা নেই। আপনি যদি আগে জি-স্পট স্টিমুলেশন থেকে প্রচণ্ড সেক্সুয়াল  উত্তেজনা পেতেন তবে আপনি অস্ত্রোপচারের পরেও তা পেতে পারেন।  যাইহোক, হিস্টেরেক্টমির পরে যৌনতা পরিবর্তিত হয় হরমোনের কারণে।   

জরায়ু অপারেশনের কতদিন পর সহবাস করা যায়?

সাধারণত জরায়ু অপারেশনের প্রায় ২ মাসের ভিতর সকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দূর হয়ে যায় এবং দুই মাসের ভিতরই সুস্থ হয়ে যায়। তবে যদি কারো ডায়াবেটিস থাকে তাহলে ঘা শুকানো এবং সুস্থ হতে ২ মাসের চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে। ডাক্তাররা বলেন যে, জরায়ু অপারেশনের প্রথম ৭ সপ্তাহের ভিতর যোনি পথে কোন কিছুই প্রবেশ করানো যাবে না। পেনিস বা লিঙ্গ, ডিল্ডো এমনকি আংগুলও প্রবেশ করানো যাবে না।  জরায়ু অপারেশনের কতদিন পর সহবাস করা যায় এটি নির্ভর করে কোন ধরণের জরায়ু অপারেশন করা হচ্ছে। সাধারণত তিন ধরণের জরায়ু অপারেশন করা হয়। 

  • টোটাল হিস্টেরেক্টমিঃ সবচেয়ে সাধারণ অপারেশন হলো এটি। ডাক্তার এই অপারশনের সময় সম্পূর্ণ জরায়ু বের করে ফেলে এমনকি জরায়ুর নিচের অংশসহ যাকে কিনা সারভিক্স বা জরায়ুমুখও বলা হয়। অনেক সময় ফেলোপিয়ান টিউব এবং ডিম্বাশয়ও বের করা হতে পারে। ( ফেলোপিয়ান টিউবে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু মিলিত হয়। ) 
  • আংশিক হিস্টেরেক্টমিঃ একে অনেক সময় সাবটোটাল বা সুপ্রাসারভাইকাল হিস্টেরেক্টমিও বলা হয়।  এই অপারেশনের সময় জরায়ুর উপরের অংশ বের করে ফেলা হয় । আর নিচের অংশ বা সারভিক্স যথাস্থানে থাকে। 
  • র‍্যাডিক্যাল হিস্টেরেক্টমিঃ এক্ষেত্রে ডাক্তার জরায়ু, সারভিক্স , সারভিক্সের অপর পাশের টিস্যু , যোনির উপরের অংশ বের করে ফেলে। অর্থাৎ যোনির ভিতরের সব কিছুই অপারেশন করে বের করে ফেলা হয়। সাধারণত জরায়ু ক্যান্সার বা জরায়ুমুখ ক্যান্সারের চিকিৎসায় এমন অপারেশন করা হয়। 

আপনার অস্ত্রোপচারের পরে আপনার কিছুটা হালকা রক্তপাত এবং স্রাব হতে পারে। 

কাটা স্থানের চারপাশে ব্যথা, জ্বালাপোড়া এবং চুলকানিও স্বাভাবিক। যদি আপনার ডিম্বাশয় অপসারণ করা হয়, তাহলে আপনার সম্ভবত মেনোপজের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন হাত পা জ্বালাপোড়া   এবং রাতে অনেক ঘাম হতে পারে।  

জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায়? 

হিস্টেরেক্টমির ফলে বা জরায়ু অপারেশনের পর আপনার সেক্সুয়াল লাইফ কয়েক সপ্তাহের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি প্রায় ২ থেকে আড়াই মাস সেক্স করতে পারবেন না। তখন সেক্স করলেই রক্ত বের হবে। তবে প্রায় ৩ মাসের ভিতরই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে এবং সেক্সুয়াল লাইফ আগের মত হবে যাবে। বেশিরভাগ মহিলা বলেছেন যে তাদের যৌন জীবন হয়  আগের মত থাকে বা অপারেশনের পরে উন্নত হয়। তবে এমন হবে যে, হিস্টেরেক্টমি বা জরায়ু না থাকলে সহবাসের ইচ্ছা নাও আসতে পারে।  যদি আপনার ডিম্বাশয় বের করে ফেলা হয় তাহলে আপনার সেক্সের ইচ্ছা কম হতে পারে। কারণ ডিম্বাশয় টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন হরমোন তৈরী করে। আর এই দুই হরমোন স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন এবং সেক্সের ইচ্ছা তৈরী করার জন্য দায়ী। 

জরায়ু অপারেশনের পর সহবাসের সময় কি অর্গাজম হয়? 

কিছু মহিলা বলেন যে অস্ত্রোপচারের পরে তাদের অর্গাজম কম হতে পারে বা অর্গাজম নাই হতে পারে। এর কারণ হল জরায়ু অপারেশন করলে স্নায়ু কেটে যেতে পারে যা আপনাকে অর্গাজমের আনন্দ দিয়ে থাকে।  

এছাড়াও, সার্ভিক্সে  স্নায়ু থাকে যা সেক্সের সময় উদ্দীপিত হয়। জরায়ু অপারেশনের  সময় যদি আপনার সার্ভিক্স অপসারণ করা হয়, তাহলে  এই স্নায়ুগুলি কেটে যেতে পারে। যদিও এটি বিরল এবং বেশিরভাগ লোকেরই এমন হয় নাই। জরায়ু অপারেশন আপনার যোনির সংবেদনশীলতায় কোন প্রভাব ফেলে না। তবে আপনার ডিম্বাশয় বের করে ফেলা হলে আপনি মেনোপোজের দিকে চলে যাবেন, আপনার যোনির টিস্যু শুকিয়ে যেতে পারে এবং সেক্সের সময় কোন ফিলিং নাও আসতে পারে। 

জরায়ু কেটে ফেললে কি মাসিক হয়?

জরায়ু কেটে ফেললে মাসিক হয় না। যেহেতু মাসিক হয় না সেহেতু আপনি গর্ভবতী হতে পারবেন না। কেনো মাসিক হয় না তা জানার জন্য আগে জানতে হবে মাসিক কিভাবে হয়। 

মহিলাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন হরমোনের জন্য জরায়ুর ভিতরের স্তর বা এন্ডোমেট্রিয়ামে প্রতি পিরিয়ডিক মাসের ১ থেকে ১৪ দিনের ভিতর একটি টিস্যুর আস্তরণ তৈরী হতে থাকে। ১৪ দিনের পর থেকে জরায়ু এবং ডিম্বাণু শুক্রাণুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। যদি ডিম্বাণু , শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত না হয় তাহলে সেই টিস্যু গুলো ছিড়ে যেতে থাকে এবং যোনি পথে বের হয়ে যায়। একেই মাসিক বলা হয়। 

যেহেতু জরায়ু কেটে ফেললে সেই টিস্যু তৈরী হয় না সেহেতু জরায়ু কেটে ফেললে মাসিক হয় না।  

আর অনেক সময় আপনি মেনোপজের লক্ষণ দেখতে পারবেন। 

যদি ডাক্তার ডিম্বাশয় বের করে ফেলে তখন আপনি মাসিকের লক্ষণ দেখতে পারবেন না। তবে ডিম্বাশয় রেখে দিলে  রক্তপাত হবে এবং প্রতি ২৮ দিন পর পর ডিম্বপাত হবে।  

যেহেতু আপনার জরায়ু অপসারণ করা হয়েছে, আপনার আর মাসিক হবে না এবং আপনি গর্ভবতী হতে পারবেন না। কিন্তু আপনার ডিম্বাশয় এখনও হরমোন তৈরি করতে পারে, তাই আপনার মেনোপজের অন্যান্য লক্ষণ নাও থাকতে পারে। আপনার হাত পা জ্বালাপোড়া  হতে পারে,যা মেনোপজের একটি উপসর্গ, কারণ অপারেশনের ফলে ডিম্বাশয়ে রক্ত প্রবাহে বাধা হতে পারে। এটি ডিম্বাশয়কে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসরণ করতে বাধা দিতে পারে। 

যদি হিস্টেরেক্টমির সময় উভয় ডিম্বাশয় অপসারণ করা হয়, তাহলে আপনার আর পিরিয়ড হবে না এবং  আপনার অন্যান্য মেনোপজের লক্ষণ থাকতে পারে। কারণ ডিম্বাশয় ছাড়া আপনার দেহে হরমোনের মাত্রা দ্রুত কমে যেতে থাকে। আর এর জন্য আপনার মেনোপজের লক্ষণ অনেক শক্তিশালী হতে পারে। এর জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।  

জরায়ু অপারেশনের কতদিন পর সহবাস করা যায়?

জরায়ু অপারেশনের কতদিন পর সহবাস করা যায় এটা  নিয়ে প্রায় সকল ডাক্তার এবং গবেষকরাই একমত। আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ানস এন্ড গাইনোকোলজিস্টস এর মতে জরায়ু অপারেশনের ৬ সপ্তাহের ভিতর যোনিতে কোন কিছু প্রবেশ করানো যাবে না। যেমন পেনিস বা নুনু , আঙ্গুল, সেক্স টয়, টেম্পুন এবং ডচ কিছুই প্রবেশ করানো যাবে না। তবে অনেকের ক্ষেত্রে ক্ষত সারতে বেশি সময় লাগতে পারে। তবে ৬ সপ্তাহই সকল ডাক্তার ক্ষত সারানোর সময় বলে মনে করেন। তবে একেকজন একেক সময় সুস্থ হতে পারে। 

ডাক্তারদের মতে জরায়ু অপারেশনের পর যোনি স্রাব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং ক্ষত না সারা পর্যন্ত সকল প্রকার সেক্সুয়াল এক্টিভিটি  বা সেক্স থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে কখন অর্গাজম করতে হবে, এর কোন নির্দিষ্ট নিয়ম  নাই। তবে আমার মতে ৬ সপ্তাহের ভিতর সকল প্রকার সেক্স এবং আংগুল দিয়ে হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকতে হবে এবং দেহকে নিরাময়ের জন্য সময় দিতে হবে। সেক্সের উত্তেজনা পেলভিক মাসলকে উত্তেজিত করে সংকুচিত করে দিতে পারে যার ফলে সস্থ হওয়ার জন্য বেশি সময় লাগতে পারে।  এছাড়াও শারীরিক সমস্যা ছাড়াও মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যেমন আপনার সেক্সের উত্তেজনা কমে যেতে পারে। 

মহিলাদের জরায়ু অপারেশন ভিডিও

জরায়ু কেটে ফেললে কি মাসিক হয়? 

জরায়ু কেটে ফেললে মাসিক হয় না। আর যদি একটা ডিম্বাশয় কেটে ফেলা হয় তাহলেও আপনার মাসিক হবে না।  যদি দুইটাই ডিম্বাশয়ই কেটে ফেলা হয় তাহলে কখনোই মাসিক হবে না।  যদি ডিম্বাশয় কেটে ফেলা হয় তাহলে  আপনার ডিম্বপাত হবে না। এবং মেনোপজের লক্ষণ প্রকাশ পাবে। এই আর্টিকেলে আমি বিস্তারিত লিখেছি। 

সর্বশেষঃ জরায়ু কেটে ফেললে কি সহবাস করা যায়?

আজকে আমি আলোচনা করবো জরায়ু কেটে ফেললে কি সহবাস করা যায়? সংক্ষেপে বলা যায় যে, জরায়ু জরায়ু কেটে ফেললে সহবাস করা যায়। কিন্তু সেক্সের ইচ্ছা কমে যেতে পারে। আর জরায়ু অপারেশনের পর সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।

Comments

Popular posts from this blog

বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে?