সিজারের পর সহবাসের নিয়ম কি?

নরমাল ডেলিভারি হতে সিজারিয়ান ডেলিভারি বেশ জটিল। সিজারিয়ান ডেলিভারি হলে আপনাকে আপনার শরীরকে বেশ কিছু দিন সময় দিতে হবে যাতে কতে ক্ষত সেরে উঠে। তবে সিজারিয়ান ডেলিভারির জন্য আপনার যৌন জীবনে স্থবিরতা আনা যাবে না। সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেয়ার পর আপনার শরীরের বেশ কিছু সপ্তাহ সময় লাগবে তার ক্ষত সারাতে যাতে করে আপনি সুন্দরভাবে সহবাস করতে পারেন। আজকে আমরা আলোচনা করবো, সিজারের পর সহবাসের নিয়ম কি, সিজারের কতদিন পর সেক্স করা উচিত, সিজারের পর কোন পজিশনে সেক্স করা উচিত, এবং সেই পজিশনের ছবি সহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। আমি রাদিয়া তাসনিম আয়েশা , এমবিবিএস (দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ) এসব বিষয় আলোচনা করবো মেডিকেলের দৃষ্টিকোন থেকে। দয়া করে কষ্ট করে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়বেন কারণ আমার মেডিক্যাল লাইফে যা শিখছি তার সবই এখানে বলার চেষ্টা করবো।

সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

প্রায় সকল মানুষেই বিশ্বাস করেন যে, একজন শিশুর জন্ম দেয়ার মাধ্যমে আপনার জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। সত্যি বলতে কি, বাচ্চা জন্ম দেয়া সহজ কাজ না।হোক সেটা সিজারিয়ান ডেলিভারি বা নরমাল ডেলিভারি। বাচ্চা প্রসবের পর আপনার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে অনেক সময় লাগতে পারে আবার কম সময়ও লাগতে পারে। সাধারণত নরমাল ডেলিভারি হলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে কম সময় লাগে। সাধারণত এই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা আপনার সেক্স লাইফকে প্রভাবিত করতে পারে। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম বিবাহিত ও অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ? meyeder masik na hoyar karon ki ?

আবার অনেকে ভাবেন যে, আপনি অনেক দিন পর শারীরিক মিলন করতে যাচ্ছেন, এখন আপনার কেমন লাগবে, যোনি কি ঢিলা হয়ে গেছে কিনা ইত্যাদি। আবার অনেকে ভাবেন যে, সিজারিয়ান ডেলিভারি হলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কম সময় লাগে কারণ সিজার হলে যোনিতে বেশি ব্যাথা হয় না।

সিজারের কতদিন পর সহবাস করা যায়?

আমেরিকান একাডেমি অফ অবস্টেট্রিক্স এন্ড গাইনোকোলজি অনুসারে সিজারের কিছু সপ্তাহের ভিতর আপনার যোনির ভিতর কিছুই প্রবেশ করানো উচিত না। তবে কিছু সপ্তাহ বলতে কি বুঝানো হয়েছে তা আসলে নির্দিষ্ট না। যেমন আমাদের ডাক্তাররা বলে থাকেন যে, সিজারের ৬ সপ্তাহের ভিতর যোনির ভিতর কোন কিছু প্রবেশ করানো উচিৎ না।

যোনি এবং জরায়ুর এক অদ্ভুদ ক্ষমতা আছে। এরা নিজেরা নিজেদের পরিষ্কার রাখতে পারে। যেমন যোনিতে স্ট্রেপটেকক্কাস ল্যাকটিস ব্যকটেরিয়া থাকে। এরা ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে অন্যান্য জীবাণু ধ্বংশ করে। তেমনি জরায়ুরও এরকম ক্ষমতা আছে। তো যখন সিজার হয় তখন ডাক্তাররা জরায়ু কেটে বাচ্চা বের করেন। তো ডাক্তাররা বলেন যে, জরায়ু যাতে করে নিজে নিজে ক্ষতগুলো নিরাময় করতে পারে সেটা চেষ্টা করা উচিত। এতে সংক্রমণের ঝুকি কম থাকে। আর এর জন্য জরায়ুকে অন্তত ৬ সপ্তাহ সময় দেয়া উচিত। সবচেয়ে বেশি ভালো হয়, যদি ৩ মাস সময় দেন। তখন জরায়ু সম্পূর্ণরূপে ঠিক হয়ে যান। চেষ্টা করবেন ৩ মাসের ভিতর সেক্স না করতে এতে করে আপনার বাকি সময় ভালো কাটবে।

তবে যদি এমন হয় যে, আপনার জরায়ুর ক্ষত শুকানোর আগে আপনি সেক্স করলেন তখন কি হবে? সেক্স করার সময় মেয়েদের যোনি এবং শ্রোণীচক্রের উপর চাপ পড়ে। আর শ্রোণিচক্রের উপর চাপ পড়লেই জরায়ুর সমস্যা। শ্রোণীচক্র বা পেলভিক অঞ্চলের উপর চাপ পড়লে জরায়ুর সেলাই খুলে যেতে পারে। ইনফেকশন হতে পারে। মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

তবে যদি আপনার নিচের লক্ষণগুলোর একটি থাকলে শীঘ্রই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন। আর এমন হলে সিজারের নেক্সট তিনমাস বা তারও বেশি সেক্স করা যাবে না। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি?

  • যদি ইন্সট্রুমেন্টাল ডেলিভারিতে যোনিতে আঘাত লাগে বা বাচ্চা আটকে যায় ( এই রোগের নাম ডিস্টোসিয়া) তাহলে যোনি ঠিক হতে সময় দেয়া লাগবে।
  • যদি সিজারের সময় জরায়ু কেটে ফেলা হয়।
  • যোনি বা পেলভিক অঞ্চলের ইনফেকশন
  • পেলভিক অঞ্চলে অপারেশনের সময় যদি ড্রেন লাগানো হয়।

সিজারের পর প্রথম সেক্স করার সময় আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বললে সবচেয়ে বেশী ভালো হয়। কারণ তিনিই আপনার বর্তমান অবস্থা জানেন। আর আপনার ডাক্তারকে আপনার সিজারের জায়গা এবং যোনির বর্তমান অবস্থা দেখাতে ভুলবেন না। আমাকে আপনার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বললে আমার বলতে সুবিধা হতো। নিচে আমার ফেসবুক লিংক দেয়া আছে।

তবে সিজারের পর আপনার প্রথম সেক্সে বেশ আপনার অস্বস্তিকর লাগতে পারে কারন অনেকদিন মিলন না করার ফলে আপনার যোনিছিদ্র ছোট হয়ে যায়। এর জন্য সবচেয়ে ভালো হয় কোনো পিচ্ছিল করার দ্রব্য যেমন লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন। যদি ব্যাথা হয়, এবং রক্তপাত হয় তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

সংক্ষেপেঃ সিজারের পর সহবাসের নিয়ম সিজারিয়ান ডেলিভারির পর কতদিন পর সহবাস করা যাবে তার গড় সময় ৬ সপ্তাহ। অনেক মহিলার ঘা আগে সেরে যায় (সাধারণত ৪ সপ্তাহেত ভিতর) আর অনেকের ৬ সপ্তাহের পরে সারে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় চার থেকে ছয় সপ্তাহ দেরি করবেন। যদিও সিজারিয়ান ডেলিভারিতে, নরমাল ডেলিভারির তুলনায় কম রক্তপাত এবং রক্তস্রাব হয় তবুও আপনার সারভিক্স বা জরায়ুমুখ সম্পূর্ণরূপে আগেরমত অবস্থায় আসতে প্রায় ৬ সপ্তাহ লাগতে পারে। যখন আপনার জরায়ুমুখ আগেরমত অবস্থায় চলে আসবে বা সংকুচিত হয়ে যাবে এবং আপনার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হবে  তখন আপনার সহবাস করা উচিত। তবে সবচেয়ে সেইফ সময় হল ৬ সপ্তাহ এবং এই সময়ের ভিতর আপনার যোনিতে কোন কিছুই প্রবেশ করানো উচিত না।  

বাচ্চা হওয়ার পর কতদিন পর সহবাস করা যায়? সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

আপনার সিজারিয়ান ডেলিভারির পর আপনি সুস্থ হওয়ার জন্য দুই থেকে চার দিন আপনি হাসপাতালে থাকবেন। এই কয়েকদিনে আপনার দেহের ক্যাথিটার এবং ব্যাথার ঔষুধ দেহ থেকে বের করা হবে। যদিও আপনি আপনার শিশুকে নরমাল ডেলিভারি করে যোনি পথ দিয়ে বের করেন নাই, তবুও আপনার যোনিপথে রক্তপাত হওয়া স্বাভাবিক।কারণ তখন জরায়ু তার ভিতরের অতিরিক্ত ভর বের করে দিয়ে আগের মত অবস্থায় ফিরে আসে।

তবে আমি লক্ষ্য করেছি অনেক সিজারিয়ান ডেলিভারির রোগীর যোনিপথে প্রসবের রোগীদের মতো প্রাথমিক রক্তপাত হয় না। কারণ অপারেশনের সময় বেশ কিছু রক্ত পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে আপনার চার থেকে ছয় সপ্তাহের ভিতর রক্তপাত হতে পারে। আমি আগেই বলেছি যে, একজন মহিলার জরায়ুর মুখ বন্ধ হওয়ার জন্য প্রায় ছয় মাস সময় লাগে হোক সে নরমাল ডেলিভারি করুক আর সিজার ডেলিভারি করুক। আর শারীরিক মিলন করার আগে আপনার যোনিমুখ বন্ধ হওয়া অনেক জরুরী। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

যদি আপনার সিজারিয়ান ডেলিভারি হয় তাহলে আপনি সিজারে বাচ্চা হওয়ার চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর সহবাস করবেন। আর নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর সহবাস করবেন।

তবে কেউ কেউ আগে সুস্থ হয়ে যেতে পারে। তারা তখন আবার আগে আগে মিলন করতে পারে। আপনি শারীরিকভাবে মিলন করার জন্য তৈরী কিনা জানার জন্য ডাক্তারের কাছে যাবেন। তখন ডাক্তার আপনাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বলবেন যে আপনি সেক্সের জন্য প্রস্তুত কি না।

সিজারে নাকি নরমাল ডেলিভারি? কোনটা ভালো? সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

অনেকে ভেবে থাকেন যে, সিজারিয়ান ডেলিভারি হলে বেশি কষ্ট হয় না, এবং নরমাল ডেলিভারিতে বেশি কষ্ট হয়। হ্যা, এই কথা আংশিকভাবে সত্য। কিন্তু সত্যি বলতে কি, কষ্ট দুইটাতেই সেইম। কারণ একজন মহিলার সিজার করা হলে সে হয়ত কোন কষ্ট ছাড়াই বাচ্চা প্রসব করে, কিন্তু তাদের যে এন্থেশিয়া দেয়া হয়, জরায়ুর ক্ষত ইত্যাদির ব্যাথা তাদের আজীবন পোহাতে হয়। অনেকের তো আজীবন কোমড় ব্যাথা থাকে। সিজারের সময় এন্থেশিয়া দেওয়া হয় মেরুদন্ডের ১৭ নাম্বার হাড়ে। তো সেখানে আজীবন ব্যাথা থাকে অনেকের। এর জন্য বলা হয় নরমাল ডেলিভারি বেস্ট। তবে বাচ্চার ওজন 3 কেজির বেশি এবং উচ্চতা পাচ ফুট ২ ইঞ্চির কম হলে নরমাল ডেলিভারি করা হয় না। কারণ বাচ্চা হওয়ার সাথে জরায়ু মুখের ছিদ্রের কিছু ব্যাপার আছে। বেশি খাটো হলে জরায়ুমুখ বড় হয় না। আর এতে সারভিক্স ছিড়ে যেতে পারে। এছাড়াও অনেক ব্যাপার আছে। আমার মতে শারীরিক সমস্যা না থাকলে এবং খুব খাটো না হলে( চার ফুট সাত বা আট ইঞ্চির বেশি হলে) নরমাল ডেলিভারি বেস্ট। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

সিজারের কতদিন পর সেক্স করা যায়? সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

যোনিপথে বাচ্চা প্রসব এবং সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসবের ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল রিকোভারি বা শারীরিক সমস্যা পুনরায় ঠিক হতে প্রায় একই সময় লাগে।কিন্তু এই ফিজিক্যাল রিকোভারির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

সিজারের এক সপ্তাহ থেকে ১৫ দিনের ভিতর সেলাই খুলা হবে। আর ঐখানে যাতে করে ব্যাক্টেরিয়া কোন ইনফেকশন করতে না পারে তাই আপনাকে এন্টিবায়োটিক ঔষুধ খেতে দেয়া হবে।আমাদের দেশে সাধারণত ক্লাভুল্যানিক গ্রুপেরএন্টিবায়োটিক দেয়া হয়। আর সিজারের কাটা যায়গা ঠিক হতে প্রায় দেড় মাস সময় লাগে। এর ভিতর সেক্স করা নিষেধ। দেড় মাসের ভিতর সিজারের জায়গায় অস্বস্তি লাগতে পারে। অনেকে কয়েক মাস ধরে অস্বস্তি অনুভব করে। এর জন্য বেল্ট করা ভালো। যদি অস্বস্তির সাথে ব্যাথা, জ্বর না থাকে তাহলে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ব্যাথা হলেই ডাক্তার দেখানো দরকার। এতে ইনফেকশন হয়। আর ইনফেকশন হলে জরায়ু ক্যান্সারও হতে পারে। মেয়েদের মাসিক কিভাবে কেন হয়? ভিডিওসহ দেখুন Meyeder Masik Kivabe Keno Hoy?

সিজারের পর সহবাস করার নিয়ম

সিজারের পর সেক্স করার সময় দেড় মাস সময় নিবেন। যেহেতু কাটা জায়গায় ঐজায়গায় চাপ লাগলে অস্বস্তি ব্যাথা হতে পারে তাই আপনি সেক্স করার সময় এমনভাবে থাকবেন যেন কাটা জায়গায় চাপ না লাগে। কখনই ডগি স্টাইলে সেক্স করবেন না। কারণ এতে করে আপনার পেলভিক এরিয়াতে চাপ পড়ে । আর স্বামীকে উপরে দিয়ে তো সেক্স করাই যাবে না। এতে করে আপনার সিজারের জায়গায় ব্যাথা বাড়তে পারে। আপনি স্বামীর উপরে উঠে সেক্স করতে পারেন। এটাই ভালো হবে।

সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

এখানে আমি চারটি পজিশন দিয়েছি। এর ভিতর বাম পাশে প্রথম পজিশনটা বেস্ট। তবে এর ভিতর যেকোন একটা পজিশন নিয়েই করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন, তলপেটে চাপ না লাগে। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

সিজারের পর প্রথম সেক্সে ভয় পায় অনেকে। এখানে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই। কারণ অনেক দিন ধরে সেক্স করার ফলে মনে বিরূপ প্রভাব এসে পড়েছে। এর চেয়ে সেক্সকে ইনজয় করুন।

তবে সিজারের পর প্রথম সেক্স শুধু আপনার জন্য না, আপনার স্বামীর জন্যও। তাই তার কথা ভুলবেন না। আপনি তাকে যথেষ্ট উত্তেজিত করতে চেষ্টা করবেন, তাকে সময় দিন। তার সাথে ফোরপ্লে করতে ভুলবেন না। কিস, লিপ কিস, বুক ম্যাসাজ করা, পুরো শরীরের ম্যাসাজ করা, নাক দিয়ে ঘষা ইত্যাদি করতে পারেন। এতে করে সে যেমন উত্তেজিত হবে তেমনি আপনার ভ্যাজাইনার ফ্লুয়িড বের হবে। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

তবে আপনি যদি ডেলিভারির কষ্টের জন্য আপনার সেক্সুয়াল লাইফ প্যারাময় হয় বা মজা না পান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি?

বাচ্চা হওয়ার পর কতদিন পর মাসিক হয়? সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

বাচ্চা হওয়ার কতদিন পর মাসিক হয় এটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব না। কারণ এটি জনপ্রতি ভিন্ন হয়ে থাকে। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

আপনি যদি বুকের দুধ না খাওয়ান তবে আপনার পিরিয়ড সাধারণত আপনার জন্মের ছয় থেকে আট সপ্তাহ পরে ফিরে আসবে। আপনি যদি বুকের দুধ খাওয়ান, পিরিয়ড ফিরে আসার সময় পরিবর্তিত হতে পারে। যারা একচেটিয়া বুকের দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করেন তাদের পুরো সময় বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় নাও থাকতে পারে। “একচেটিয়া বুকের দুধ খাওয়ানো” মানে আপনার শিশু শুধুমাত্র আপনার বুকের দুধ পাচ্ছে। কিন্তু অন্যদের জন্য, তারা স্তন্যপান করুক বা না করুক তা কয়েক মাস পরে ফিরে আসতে পারে।সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

যদি এমন হয় যে আপনি নরমাল ডেলিভারি করেছেন এবং আপনার তারাতারি মাসিক হয়েছে তাহলে ডাক্তার আপনাকে টেম্পন ইউজ করতে মানা করবে। কারণ আপনার যোনি এমনিতেই একটা ব্যাথা সারাচ্ছে, এর পরেও যদি আপনি টেম্পন ইউজ করেন তাহলে আপনার যোনিতে আরো বেশি ব্যাথা হতে পারে। আমাদের দেশে টেম্পন তেমন কেউ ইউজ করে না। বেশিরভাগই মাসিকের প্যাড ইউজ করে। তাই মাসিকের প্যাড ইউজ করলে চিন্তার কোন কারণ নাই। তবে এই ছয় সপ্তাহের ভিতর মাসিক না হলেও আপনি কিন্তু প্রেগন্যান্ট হতে পারেন।

আপনার যে সকল প্রশ্ন থাকতে পারে

বাচ্চা হওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়?

আপনি যতদিন না পর্যন্ত সুস্ত না হচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত সেক্স করা যাবে না। সিজার হলে তো ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেক্স নিষেধ। আর নরমাল ডেলিভারি হলে চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেক্স করা যাবে না। অর্থাৎ বাচ্চা হওয়ার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ দিনের পর সহবাস করা যায়।। এর পরেও ঘা না শুকালে আরো দেরি করতে হবে। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

সিজারের কত দিন পর সহবাস করা যাবে?

সিজারের কাটা ছেড়া যতদিন না শুকাবে ততদিন পর্যন্ত সেক্স সহবাস করা যাবে না। আর সাধারণত সিজারের ঘা শুকাতে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ দিনের মত লাগে। অর্থাৎ সিজারের ৪০ থেকে ৬০ দিন পর সহবাস করা যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেনো পেটে চাপ না পড়ে। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

বাচ্চা হওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়?

যদি আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে বাচ্চা হওয়ার ছয় থেকে আট সপ্তাহের ভিতর মাসিক হয়। তবে কারো কারো আগে হতে পারে। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ কি?

সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ হল সিজারের জায়গায় ব্যাথা হবে। সাথে জ্বর থাকবে। সিজারের পর পেটে বেল্ট না পড়লে সেলাই খুলে যাচ্ছে মনে হতে পারে। সাধারণত এমন হলে চিন্তার কোন কারণ নাই। তবে বেশি অস্বস্তি লাগলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর সিজারের জায়গায় যদি পুজ বা গোটা গোটা হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন। এমনিতে একদিন তলপেটে ব্যাথা হতে পারে। এর বেশি হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। সিজারের পর সহবাসের নিয়ম

তো আজকে আমি আলোচনা করলাম, সিজারের পর সহবাসের নিয়ম কি, সিজারের পর মাসিক হতে কতদিন লাগে ইত্যাদি বিষয়ে। যদি আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। নিচে আমার ফেসবুক আইডির লিংক দেয়া আছে।

Comments

Popular posts from this blog

জরায়ু কেটে ফেললে কি সহবাস করা যায়?

যোনিতে লিংগ প্রবেশের নিয়ম