সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি?
আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং সাধারণত মিষ্টান্ন খাবারে কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। (সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি?) কিসমিস বেশিরভাগ সময়েই সালাদ, দই, পায়েশ , সেমাই ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় বিভিন্ন বিস্কুট কেকেও কিসমিস ব্যবহার করা হয়। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য কিসমিসের জুড়ি নেই। কিসমিস সাধারণত মিষ্টি, বেশি সুগার এবং ক্যালোরির জন্য এটা দেহের অনেক উপকারে আসে। তবে কিসমিস দেহের উপকারে আসে তখনই যখন এটা নিয়মিত এবং পরিমিত পরিমানে খাওয়া হয়। তবে আপনারা জেনে অবাক হবেন যে একজন ব্যক্তির সেক্স বাড়াতে কিসমিসের ভূমিকা অনেক বেশি। আজকে আমরা আলোচনা করবো সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি? মাথা ঠান্ডা রাখার ঔষধের নাম কী?
সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি?
একটা খাবার তখনই সেক্স বাড়াতে সাহায্য করে যখন সেই খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে। সেচে কিসমিসের কি উপকারিতে আছে সেটা আমরা জানতে পারবো যদি আমরা এর পুষ্টি সম্পর্কে জানতে পারি। বিবাহিত ও অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ? meyeder masik na hoyar karon ki ?
কিসমিস খেতে মিষ্টি লাগে। আর আমরা জানি যদি কোন খাবার মিষ্টি হয় সেই খাবারে কার্বোহাইড্রেট থাকবে। তো কিসমিসে কার্বোহাইড্রেট ছাড়া আরো কিছু পুষ্টি উপাদান থাকে। যেমন এন্টিওক্সিডেন্ট, ফাইবার, আয়রন, এন্টিমাইক্রোবিয়াল বা ফাইটোক্যামিকেলস ইত্যাদি। এসব পুষ্টি উপাদান কিভাবে সেক্স বাড়াতে সাহায্য করে সেটা নিয়ে এখন আলোচনা করবো।
সুগার এবং ক্যালোরি সেক্সের সময় শক্তি দেয়
প্রায় হাফ কাপ কিসমিসে ২১৭ ক্যালরি এবং ৪৭ গ্রাম সুগার থাকে। সুগার বলতে চিনিকে বুঝানো হচ্ছে না। ফলমূলে যে সুগার থাকে অর্থাৎ যে কারণে ফলমুল মিষ্টি লাগে তাকে বলা হয় সুক্রোজ। কিসমিসে সুক্রোজ থাকে। আমাদের দেহে চিনি ভেঙ্গে সুক্রোজ তৈরী হয়। কারণ সুক্রোজ অনেক ছোট কণা কিন্তু চিনির কণা অনেক বড়। তাই দেহ চিনির কণা গ্রহণ করতে পারে না। এই সুক্রোজ আবার গ্লুকোজে পরিণত হয়। দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি?
কিসমিসে বেশ ভাল পরিমাণই সুগার বা সুক্রোজ থাকে। তুলনার জন্য বলা যেতে পারে যে, একটা কোমল পানীয় যেমন কোকাকোলা এর ক্যানে ১৫০ ক্যালরি থাকে এবং ৩৩ গ্রাম চিনি থাকে ( ব্রান্ড ভেদে ভিন্ন হতে পারে।) আর এর জন্য কিসমিস আসলে কোন কম ক্যালরিযুক্ত খাবার না। অনেকে কিসমিসকে প্রাকৃতিক ক্যান্ডি বা প্রাকৃতিক মিছরি বলে থাকে। কিসমিসে বেশি পরিমাণে সুগার আর ক্যালরি থাকার জন্য একে অনেকে স্পোর্টস গাম এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। ড্রাই ফ্রুটে বেশি পরিমান সুগার থাকা স্বাভাবিক কারণ শুষ্ক ফলে কোন পানি থাকে না, ফলে দ্রব্য এর পরিমান বেশি হয়ে যায়।
সেক্সের ক্ষেত্রে কিসমিস অনেক বেশি সাহায্য করতে পারে। যেহেতু কিসমিসে বেশী পরিমানে ক্যালরি থাকে তাই সেক্সের আগে কিসমিস খেলে বেশি শক্তি পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই ২০/৩০ মিনিট আগে খেতে হবে। আর কিসমিসের পরিবর্তে খেজুর, মধুও খেতে পারেন।
অর্থাৎ কিসমিস সেক্সের জন্য শক্তি যোগায়
ফাইবার পায়ুপথের উপকার করে এবং সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি?
কিসমিসে মোটামুটি পরিমাণে ফাইবার থাকে। দেড় কাপ কিসমিসে প্রায় সাড়ে তিন গ্রাম ফাইবার থাকে। আমাদের ডেইলি যে পরিমান ফাইবার গড়ে দরকার হয় তার প্রায় ১০ থেকে ২৪ পার্সেন্ট ফাইবার দেড় কাপ কিসমিসের থেকে পাওয়া সম্ভব।
ফাইবার বা খাবারে তন্তু গুলো খাবার হজম করার পরেও হজম হয় না। যা কিনা মল তৈরী করে। তবে কিসমিসের থেকে বেশি ফাইবার বিভিন্ন প্রকার শাকে পাওয়া সম্ভব।
ফাইবারের প্রধান কাজ হল মল তৈরি করা। আর এর সাথেও কিছু উপকারও করে থাকে। মল যখন তৈরী হয় তখন ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদান্ত্র এর দেয়ালে জমে থাকে চর্বি গুলোকে নিচে নিয়ে নামে। অর্থাৎ পেট মোটা হতে দেয় না। সেখানে কোন জীবানু জমতে পারে না। আর এর জন্য কোলন ক্যান্সার হওয়ার চান্স কমে যায়। (ভিডিও)রেপ করা হয় কিভাবে?জোর করে ধর্ষণ কিভাবে করে?
আবার ফাইবারের জন্য হজম প্রক্রিয়া মন্থর হয়। এর জন্য ক্ষুধা কম হয় এবং গ্যাস কম হয়। ফাইবার লো ডেনসিটি কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয় যা কিনা দেহের জন্য খারাপ।
যদিও দেড় কাপ কিসমিস খাওয়া একদিনে অসম্ভব। এর জন্য এই সুবিধা পেতে হলে শাক খেতে হবে।
আয়রণ লিঙ্গ দাড়াতে সাহায্য করে – সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি?
কিসমিস আয়রনের একটা ভালো উৎস। দেড় কাপ কিসমিসে ১.৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। আর যা কিনা একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক মহিলার প্রতিদিনের আয়নের চাহিদার ৭ শতাংশ আর পুরুষের ১৬ শতাংশ। যোনিতে লিংগ প্রবেশের নিয়ম
আর আয়রন হল আমাদের দেহের লাল রক্ত কণিকা তৈরীর জন্য দায়ী। আয়রন কম হলে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনেমিয়া হয়ে থাকে। আয়রন বেশি হলে বেশি রক্ত হয় আর বেশি রক্ত হলে লিঙ্গ বেশী দাঁড়ায়। যেমন সকালের দিকে ছেলেদের হরমোণ বেশি থাকার জন্য রক্ত প্রবাহ বেশি হয়। এর জন্য লিঙ্গ সকাল বেলায় দাঁড়িয়ে থাকে।
ক্যালসিয়াম এবং বোরন সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা
প্রতি হাফ কাপ কিসমিসে ৪৫ মিলিগ্রামের মত ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা কিনা আপনার প্রতিদিনের ক্যালসিয়াম চাহিদার চার পার্সেন্ট। ক্যালসিয়ামের জন্য হাড় শক্ত হয়, দাত শক্ত হয়।
যদি আপনার মেনোপজ হয়ে থাকে অর্থাৎ মাসিক চিরতরে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কিসমিস আপনার ক্যালসিয়াম চাহিদা পূরণ করতে পারে। কারণ মেনোপজের পর অস্টিওপোরেসিস হয়ে থাকে। মেয়েদের মাসিক কিভাবে কেন হয়? ভিডিওসহ দেখুন Meyeder Masik Kivabe Keno Hoy?
কিসমিসে বোরন থাকে যা কিনা ভিটামিন ডি তৈরী করতে সাহায্য করে। আর ভিটামিন দেহের জয়েন্টগুলো সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এন্টিওক্সিডেন্টঃ
আমাদের দেহে প্রচুর পরিমানে বিক্রিয়া হচ্ছে। যেমন লিভারে প্রচুর পরিমানে বিক্রিয়া হচ্ছে। যার জন্য অনেক র্যাডিক্যাল বা যৌগমূলক ঘটিত যৌগ হচ্ছে। আর এসব যৌগকে নিষ্ক্রিয় করতে দরকার এন্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ। সাধারণত ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যেমন ফেনল এবং পলিফেনল কে অক্সিডেন্ট বলা হয়। যৌগমূলক যেকোন সময় যে কারো সময় বিক্রিয়া করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে, যৌগমূলক ডিএনএ নষ্ট করে দিতে পারে। আর এর জন্য অনেক সমস্যা যেমন ক্যান্সার, হৃদপিন্ডের সমস্যা , স্ট্রোক হতে পারে। যার জন্য সেক্স লাইফ নষ্ট হতে পারে।
এন্টিমাইক্রোবায়াল যৌগ
এক গবেষণায় দেখা যায় যে, কিসমিসের ভিতর কিছু যৌগ আছে যা কিনা দেহের দাত এবং দাতের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে। এসব যৌগের ভিতর আছে অলানোয়িক এসিড, ইলিওনিক এসিড ইত্যাদি। এর জন্য দাতের ক্যাভিটি হয় না।
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম – সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি?
আসলে কিসমিস খাওয়ার তেমন কোন নিয়ম নাই। আমরা সাধারণত কিসমিস যেভাবে খাই ঐভাবে খেলেই হবে। একেকজন কিসমিস একেকভাবে খেতে পছন্দ করেন। আমরা সাধারণত কিসমিস সেমাই, পোলাও বা এরক্ম মিষ্টান্ন খাবারে দিয়ে থাকি। অনেকে সালাদে কিসমিস দিয়ে থাকে। আবার কেউ কেউ তো মাংশ রান্নার সময় কিসমিস দিয়ে থাকে। কেক বানানোর সময় কিসমিস দেয়া হয়। ছেলেদের নুনুর দাম কত? ধনের দাম কত
তবে আপনি সেক্স করার আগে কিছু পরিমান কিসমিস খেতে পারেন। পরে খেলেও কোন সমস্যা হয় না। তবে আমি সাজেশন দিবো যে, সেক্স করার সময় খেজুর খেতে। খেজুরে বেশি পুষ্টি পাবেন। আর মধু হলে তো কোন কথাই নাই। মধু খেলে সেক্সের সময় শরীর গরম হয় আর শক্তি পাওয়া যায়। মধুতে বিশুদ্ধ সুক্রোজ থাকে যা কিনা ১০/১৫ মিনিটের ভিতর হজম হয়ে কাজ দেখানো শুরু করে। সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি?
কিসমিস বেশ ভালো একটি ফ্যাট মুক্ত খাবার। এই খাবার খেলে মোটা হওয়ার চান্স নেই। প্রতিদিন কিসমিস খেলে এনিমিয়া বা রক্তশুন্যতা হতে মুক্ত রাখে। এতে করে হাড় শক্ত হয়।
Comments
Post a Comment