হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

হিজরাদের কি পিরিয়ড হয় সহ হিজরাদের নিয়ে আমাদের ভিতর অনেক প্রশ্ন থাকে। কারণ আমাদের দেশে হিজরাদের তেমন দাম দেওয়া হয় না। তাদেরকে মানুষ হিসেবে দামই দেওয়া হয় না। অবশ্য এই মনোভাবের কারণ তারা নিজেরাই। যা হোক হিজড়ারা হলো আমাদের দেশের তৃতীয় লিঙ্গ। অর্থাৎ মেইনস্ট্রিম পুরুষ এবং মহিলাবাদে হিজড়া বলেও একটা লিঙ্গ আছে। ইংরেজিতে হিজড়াদের ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়। আজকে আমি হিজড়াদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এই আর্টিকেলে আমি যা যা নিয়ে লিখবো –

  • হিজরাদের কি পিরিয়ড হয়
  • হিজড়াদের বিয়ে
  • হিজরাদের কি বাচ্চা হয়
  • হিজরাদের কি থাকে
  • হিজরাদের লজ্জাস্থান কেমন
  • হিজরাদের লিঙ্গ
  • হিজরাদের কি মাসিক হয়
  • হিজরাদের লিঙ্গ কেমন

বুঝতেই পারছেন আর্টিকেল অনেক বড় হতে পারে। আর মেডিকেলে হিজড়াদের নিয়ে অনেক কিছুই পড়ানো হয়। আর এসব বিষয়ই আমি এখানে আলোচনা করবো। সাথে হিজড়াদের সোনার ছবিও এড করে দিবো।

হিজরাদের সোনা কেমন হয়?
হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

হিজড়াদের সোনা কেমন হয় তা জানার জন্য অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন। তবে হিজড়াদের সোনা তিন থেকে চার ধরণের হতে পারে। কারণ আমাদের দেশে চার রকমের হিজড়া আছে। আমি এখানে এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।

হিজরাদের সোনা কেমন হয়

যেহেতু আগেই বলেছি আমাদের দেশে চার রকমের হিজড়া আছে। তবে প্রধানত দুই ধরণের হিজরার কথা আলোচনা করা যাক। একটা হলো প্রাকৃতিক হিজড়া আরেকটা হল অপারেশনের মাধ্যমে হিজড়া হওয়া । এরা আবার দুই ধরণের হয় একটা হলো ছেলে থেকে মেয়ে হিজড়া আরেকটা হলো মেয়ে থেকে ছেলে হিজড়া। সোজা ভাষায় বললে- হিজড়াদের শ্রেণিবিভাগ হলো- BTS মানে কি হিজড়া? বিটিএসরা কি হিজরা? বিটিএস এর ধর্ম কি? কোরিয়ান হিজরা

১. প্রাকৃতিক হিজড়া ( a. হাফ লেডিস হিজড়া b. হাফ মেল হিজড়া )

২. অপারেশনের মাধ্যমে হওয়া হিজড়া ( a. ছেলে থেকে মেয়ে b. মেয়ে থেকে ছেলে)

এই চার ধরণের হিজড়াদের সোনা চার ধরণের হয়। নিচে আমি এসব নিয়ে আলোচনা করবো।

প্রাকৃতিক হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

প্রাকৃতিক হিজরাদের সোনাই হলো আমারা সাধারণত দেখে থাকি বা আমরা যেমন ভেবে থাকি। এখানে ছেলে হিজড়া আর মেয়ে হিজড়াদের সোনা ভিন্ন হয়। আমি এখন এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।

ছেলে হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

সত্যি বলতে কি আমাদের দেশে ছেলে হিজরাদের বলা হয় হাফ লেডিস। আমরা যেমন ভাবি যে হাফ লেডিসের দেহ অর্ধেক ছেলেদের মত হবে আর বাকি অর্ধেক মেয়েদের মত হবে তেমনই হয়। তবে আর গুপ্ত অঙ্গ কাদের মত তার উপর ভিত্তি করে বিবেচনা করা হয় সে কি ছেলে হিজড়া নাকি মেয়ে হিজড়া।

ছেলে হিজড়াদের দেহটা খুবই অদ্ভুদ। যেমন তাদের দেহের উপরের অংশটা মেয়েদের মত। তাদের বড় বড় ব্রেস্ট থাকে। এবং সেগুলো থেকে তারা ফিলিংসও পায়। এমনকি অনেকের স্তন থেকে দুধও বের হয়।আবার তাদের দেহের উপরের অংশটা থাকে মেয়েদের মত। তাদের কণ্ঠ থাকে মেয়ে এবং ছেলেদের মিক্স। তাদের পেট এবং বুক সবই মেয়েদের মত।

কিন্তু তাদের নিচের অংশ সম্পূর্ণ ছেলেদের মত। অর্থাৎ ছেলেদের যেমন লিঙ্গ বা পেনিস বা নুনু থাকে তাদেরও থাকে। এমনকি অনেকের আবার অন্ডকোষ থাকে। যার ফলে সে যদি কোন মেয়ের সাথে সেক্স করে তাহলে সেই মেয়ে গর্ভবতী হবে। অর্থাৎ অনেক ছেলে হিজড়ারা সন্তান জন্মদানে সক্ষম। তবে আমাদের দেশে এরকম হিজড়া নাও থাকতে পারে।

আবার অনেক ছেলে হিজড়ার উপরের অংশে ব্রেস্ট বা স্তন বা দুধ ছোট থাকে। একই সাথে তাদের লিঙ্গ বা নুনুও অনেক ছোট থাকে। আবার কারো কারো পেনিস থাকেই না। পেনিসের জায়গাটা সমান থাকে। কারো কারো অনেক ছোট থাকে যেমন এক করের সমান বা এক দুই ইঞ্চির সমান। যা বলতে গেলে শুধু প্রসাবের জন্যই ব্যবহার করা হয়। তারা কোন বাচ্চা কাচ্চা জন্ম দিতে পারে না। কোরিয়ান হিজরা কারা? কোরিয়ান হিজড়া বিটিএস এর গোপন কথা

সহজ করে বললে ছেলে হিজড়াদের উপরের অংশ থাকে মেয়েদের মত। কিন্তু তাদের নিচের অংশ থাকে ছেলেদের মত। কারো কারো স্তন বা ব্রেস্ট বড়ো থাকে আবার কারো কারো ব্রেস্ট থাকে থাকে ছোট। কারো পেনিস বা নুনু থাকে বড় , কারো পেনিস আবার ছোট থাকে। অনেকে সন্তান জন্মদানে সক্ষমও হয়ে থাকে। 

মেয়ে হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

মেয়ে হিজড়াদের সোনা বলতে গেলে ছেলে হিজড়াদের সোনার বিপরীত হয়। মেয়ে হিজড়া আসলে তেমন দেখা যায় না। ইংরেজিতে এদের ফেমবয় বলা হয়। অর্থাৎ এদের উপরের অংশটা ছেলেদের মত হলেও এদের নিচের অংশটা মেয়েদের মত। অর্থাৎ মেয়ে হিজড়াদের সোনা হয় মেয়েদের মত। তাদের যোনি থাকে। কিন্তু সেই যোনি উপর থেকেই আটকানো থাকে। মেয়ে হিজড়ারা সেই যোনি পথেই প্রসাব করে থাকে। আবার অনেকের তো শুধু একটা ছিদ্র থাকে যা দিয়েই সে প্রসাব এবং পায়খানা করে থাকে। মেয়ে হিজড়া দেখে আসলে বেশ টাফ। মেয়ে হিজড়ারা যেহেতু ছেলেদের মত তাই রাস্তাঘাটে যেসকল হিজড়া দেখবেন তাদের একটা অংশ হবে মেয়ে হিজড়া। অর্থাৎ তাদের যৌনাঙ্গ চামড়া দিয়ে আটকানো। কারো কারো তো সোনা মেয়েদের মতই হয় এবং তাতে করে সে মিলনও করতে পারে।

অপারেশনের মাধ্যমে হওয়া হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

যারা আসলে নিজেদের লিঙ্গ নিয়ে সন্তুষ্ট না তারা অপারেশনের মাধ্যমে হিজড়া হয়ে যায় । এতে করে কেউ কেউ ছেলে থেকে মেয়ে হয়, কেউ মেয়ে থেকে ছেলে হয় আবার কেউ ছেলে বা মেয়ে থেকে হিজড়া হয়। এখন দেখি অপারেশনের মাধ্যমে হওয়া হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

ছেলে থেকে মেয়ে হওয়া হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

বর্তমানে ছেলে থেকে মেয়ে হওয়া একটা ট্রেন্ডের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। যদি কেউ ছেলে থেকে মেয়ে হতে চায় তাহলে তাকে জাস্ট একটা ছোট সার্জিক্যাল অপারেশন করা হবে। কিন্তু এতে করে তার জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে। এই হিজড়া হওয়ার অপারেশনে কি কি করা হয় তা নিন্মে আমি লিখে দিচ্ছি।

প্রথমে সার্জারির শুরুতেই আপনাকে বেশ ভাল করে অবশ করার জন্য লোকাল এন্থেশিয়া দিবে। এতে করে আপনি অবশ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যাবেন। এর পর আপনার পুরুষত্বের প্রতীকগুলো কেটে ফেলা হবে। যেমন আপনার পুরুষত্বের প্রতীক হলো আপনার পেনিস বা নুনু। সার্জারির মাধ্যমে আপনার পেনিস কেটে ফেলা হবে। আপনার অন্ডোকোষ কেটে ফেলা হবে। অন্ডোকোষ কেটে আপনার বীর্য বের হওয়ার যে নারি যাকে কিনা ভাজ ডিফারেন্স বলা হয় সেটা কেটে ফেলা হবে। এর পর আপনার অন্ডকোষ ফেলে দেওয়া হবে। দেহের ভিতর অনেক সময় জরায়ু স্থাপন করা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। প্রায় ৯৯.৯৯% সময়েই জরায়ু স্থাপন করা হয় না। এর পর আপনার পেনিসের ঐ জায়গায় ভ্যাজাইনা বা যোনির মত একটা আকৃতি করে দেওয়া হবে প্রসাব বের করার জন্য। এটা হল সাধারন প্রসেস। একে পেনিসেক্টোমি বলা হয়। মেয়েদের মাসিক কিভাবে কেন হয়? ভিডিওসহ দেখুন Meyeder Masik Kivabe Keno Hoy?

এছাড়াও আপনার শরীরের উপরের অংশে বড় স্তন বানানো হবে। সার্জারির মাধ্যমে স্তন বড় করা হবে। কিন্তু মোটেও তা দেখতে সুন্দর দেখাবে না। কারণ চামড়ার উপর দিয়ে চাকা চাকা সেলাই করে দেওয়া হবে। এতে দেখতে আরো ভয়ংকর লাগবে।

হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

মেয়ে থেকে ছেলে হওয়া হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

মেয়ে থেকে ছেলে হওয়া হিজরাদের সোনা ছেলেদের মত হয়। কিন্তু তা দিয়ে কোন আসল কাজই হয় না। অর্থাৎ আপনি সেই পেনিস দিয়ে সন্তান জন্মদান করতে পারবেন না। মেয়ে থেকে ছেলে হতে হলে আপনাকে সার্জারি করতে হবে। এর জন্য আপনার জরায়ু বের করে দেওয়া হবে। এর পর যোনি কেটে সেখানে ছোট পেনিসের মত কিছু লাগানো হবে। বলতে পারেন ছোট বাচ্চাদের নুনুর মত। আর আপনার স্তন কেটে ছোট করা হবে। আর বাদ বাকি সব কিছুই ঠিক থাকবে।

হিজরাদের সোনা কেমন হয়?

তো আজকে আমি আলোচনা করলাম হিজরাদের সোনা কেমন হয়? সহজ ভাষায় বলতে হিজড়াদের সোনা হয় ছেলেদের মত। কিন্তু প্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলেদের মত বড় হয় না। তাদের পেনিস থাকে অনেক ছোট। তবে কৃত্রিমভাবে অনেকেই পেনিস বড় বানায়। তখন তা প্রায় পাচ থেকে ছয় ইঞ্চির মত হয়। তখন তারা যৌন মিলন করতে পারে।

হিজরাদের কি পিরিয়ড হয়?

যেসকল হিজড়াদের দেহে মেয়েদের জিন আছে বা জরায়ু আছে তাদের পিরিয়ড হয়। তাদের প্রতি মাসে ৩/৪ দিন মাসিক হয়। এবং তারা অনেক সময় সন্তান জন্ম দানে সক্ষম। কিন্তু এরকম হিজড়া খুবই রেয়ার। কারণ হিজড়া তখনই হয় যখন তাদের সেক্সুয়াল অর্গানে কোন সমস্যা থাকে। মোটা দাগে বলা যায়, হিজরাদের পিরিয়ড মাসিক কিছুই হয় না।

হিজরাদের লজ্জাস্থান কেমন?

হিজড়াদের লজ্জাস্থান কেমন তা আমি এই আর্টিকেলেই সম্পূর্ণ আলোচনা করেছি। সংক্ষেপে বলতে হিজড়াদের লজ্জাস্থান হলো ছেলেদের মত। কারো কারোটা মেয়েদের মতও হয়। বেশিরভাগেরই পেনিস বা নুনু থাকে। কেউ হরমোনের ট্যাবলেট খেয়ে লিঙ্গ বড় করে সেক্স করে।

হিজরাদের কি বাচ্চা হয়?

না হিজড়া তখনই হয় যখন কারো সেক্সুয়াল অংগে সমস্যা থাকে। হিজড়াদের জরায়ু থাকে না। যার কারণে তারা বাচ্চা জন্ম দিতে পারে না।

তো আজকে আমি আলোচনা করলাম হিজরাদের সোনা কেমন হয়? আশা করি অনেক কিছুই জানতে পারছেন। যদি কোন কিছু জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে আমাকে ফেসবুকে নক দিন। নিচে আমার ফেসবুকের লিংক দেওয়া আছে।

Comments

Popular posts from this blog

জরায়ু কেটে ফেললে কি সহবাস করা যায়?

যোনিতে লিংগ প্রবেশের নিয়ম